১) সালার দে ইয়ুনি, বলিভিয়া
বর্ষাকালে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় লবণ-ভূমি হয়ে যায় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আয়না। প্রাচীনকালে অনেকগুলি লেকের একসাথে মিলনের ফলে সালার দে ইয়ুনির জন্ম হয়। লবণ-সমতল বা সল্ট-ফ্ল্যাট প্রতিবিম্বের সল্ট-ফ্ল্যাট খুব স্বচ্ছ আয়না হিসেবে কাজ করে। স্যাটেলাইটের শক্তি বা ক্ষমতা নির্ণয়ের জন্য এটা ব্যবহার করা হয়।
২) তিয়ানজি পর্বতমালা, চীন
একইসাথে খুব লম্বা এবং চিকন ধরনের এই পর্বতগুলি দেখে মনেই হয় না এইগুলি পৃথিবীতেই আছে। মনে হয় পৃথিবীর বাইরের কোথাও। এই পর্বতগুলি এ কারণে জেমস ক্যামেরনের আভাটার ছবিতেও ব্যবহার করা হয়েছে। ৩৮০ মিলিয়ন বছর আগে এইগুলি সমুদ্রের তলদেশে গড়ে উঠেছিল, পানি প্রবাহের কারণে এর আশেপাশের বালির তৈরি পাথরগুলি ধ্বংস হয়ে গেছে। শুধু শক্ত শিলাগুলিই টিকে আছে। কোনো পর্বতের দৈর্ঘ্য সমুদ্র-পৃষ্ঠ থেকে ৪০০০ ফুট উঁচু।
৩) সেন্টিনেলস অব দ্য আর্কটিক, ফিনল্যান্ড
এই গুলিই সেন্টিনেলস বা বরফে ঢাকা বড় আকারের গাছ। এই অদ্ভূত দৃশ্যটি শুধু শীতকালেই চোখে পড়ে যখন তাপমাত্রা -৪০ থেকে -১৫ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডের মধ্যে অবস্থান করে।
৪) রীড ফ্লুট কেইভস, চীন
এই ২৪০ মিটার গুহা দৃশ্যটি গত ১২০০ বছর ধরে চীনের গুইলিনের সবছেয়ে জনপ্রিয় একটি আকর্ষণের জায়গা। এর সুন্দর স্টালাকটাইট, স্টালাগমাইট, পিলার পানির ক্ষয়ের ফলে সৃষ্টি হয়েছিল। বর্তমানে এইগুলি বিভিন্ন রঙের আলো দিয়ে হাইলাইট করা। এর ফলে এটা সুন্দর একটি সুররিয়াল পরিবেশ তৈরি করে।
৫) স্কাফটাফেল আইস কেইভ, আইসল্যান্ড
যখন পানির প্রবাহ কোনো হিমবাহের ভিতরে গর্ত তৈরি করে তখন হিমবাহের প্রান্তে অস্থায়ীভাবে বরফের গুহা বা আইস কেইভ তৈরি হয়। এই আইস কেইভের ভিতরটা খুব আবদ্ধ। এর ভিতরে অল্প পরিমাণ বাতাস আছে। এবং এই গুহার দেয়াল নীল ছাড়া আর সব আলো শুষে নেয়। ফলে এখানের বরফ একটি আকর্ষণীয় রঙে দেখা যায়।
৬) আন্টেলোপ ক্যানিয়ন, আরিজোনা, আমেরিকা
কয়েক মিলিয়ন বছর আগে পানির প্রবাহের কারণে এই গভীর গিরিখাতটি সৃষ্টি হয়। আর এর গভীরে আলো কম পৌঁছানর কারণে এটাকে আরো গভীর মনে হয়। আর এর দেয়াল বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রঙে দেখা যায়।
৭) বাইগার ওয়াটারফল, রোমানিয়া
স্থানীয়রা এই জলপ্রপাতটিকে বলে থাকে, ‘মিনিস ঘাট থেকে আসা অলৌকিক জলপ্রপাত’। এই প্রপাতটি যে শৈবাল -চূড়া পরিভ্রমণ করে আসে সেটা আট মিটার লম্বা। এটা পৃথিবীর অল্প কয়টি সবচেয়ে সুন্দর জলপ্রপাতগুলির একটি।
৮) সী অফ স্টারস, ভাধু আইল্যান্ড, মালদ্বীপ
দিনের আলোতে স্বাভাবিক দেখালেও, রাতে এই সমুদ্র সৈকত জীবন্ত হয়ে ওঠে। ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন নামের একধরনের সামুদ্রিক অণুজীবের কারণে এই সৈকত জ্বলতে থাকে। ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটনের নিঃশ্বাস গ্রহণের কারণেই এরকম ঘটে আর পুরো সৈকতকে তখন দেখতে মহাকাশের মত মনে হয়।
৯) গ্র্যান্ড প্রিসম্যাটিক হট স্প্রিং, উইয়োমিং, আমেরিকা
গ্র্যান্ড প্রিসম্যাটিক হট স্প্রিং আমেরিকায় সবচেয়ে বড় গরম পানির জলাশয়। এই জলাশয়ের পানির এরকম গাঢ় রঙের কারণ হলো, জলাশয়ের পানিতে রঞ্জক ধরনের অণুজীব। এই অণুজীবগুলি যেসব পানিতে প্রচুর খনিজ উপাদান আছে, তাদের আশেপাশে জন্মায়।
১০) ডেডভ্লেই, নামিবিয়া
এই ছবিগুলি অবশ্যই কোনো সুররিয়ালিস্ট পেইন্টিং না। এগুলি ডেডভ্যালির ফটোগ্রাফ। এই ডেডভ্যালিতে যে গাছগুলি দেখা যাচ্ছে সেগুলি পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু বালিয়াড়ির বিপরীতে দাঁড়ানো। একসময় এখানে গভীর বন ছিল, আর এখন মরুভূমি।
১১) টারকুয়োজ আইস, লেক বাইকাল, রাশিয়া
লেক বাইকাল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে পুরাতন ফ্রেশ পানির হ্রদ। শীতকালে এই হ্রদ জমে যায়। কিন্তু এই হ্রদের পানি এত পরিষ্কার যে বরফের ১৩০ ফুট নিচে পর্যন্ত আপনি পরিষ্কার দেখতে পাবেন। মার্চ মাসে বরফে তুষার এবং রোদের কারণে ফাটল ধরে। এর ফলে বরফ থেকে ফিরোজা রঙের আলো ঠিকরে বের হয় যেটা বাহির থেকে দেখা যায়।
১২) সকোটরা, ইয়েমেন
সকোটরা দ্বীপের এক-তৃতীয়াংশ উদ্ভিদ পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া যায় নি। সবচেয়ে উদ্ভট প্রজাতির একটি হচ্ছে ড্রাগন ব্লাড গাছ। এই গাছটি দেখতে ছাতার মত।
১৩) ঝ্যাংগাই ড্যানজিয়া ল্যান্ডফরম, গানসু, চীন
১৪) টানেল অব লাভ, ক্লীভান, ইউক্রেন
১৫) গ্লোওর্ম কেইভস, ওয়াইটোমো, নিউজিল্যান্ড
১৬) ইউয়ানইয়াং কাউন্টি, চীন
১৭) লেক হিলিয়ার, অস্ট্রেলিয়া
১৮) পামুক্কেল হট স্প্রিংস, তুরস্ক
১৯) ক্যানো ক্রিস্টাল রিভার, কলম্বিয়া
২০) পাতাগোনিয়া মার্বেল কেইভস, চিলি
২১) জায়ান্ট কজওয়ে, নর্দান আয়ারল্যান্ড
২২) ফ্লাই গ্লেইসার, নেভাডা
২৩) আন্ডারওয়াটার ওয়াটারফল, মরিশাস আইল্যান্ড
২৪) মাউন্ট রোরামিয়া- সাউথ আমেরিকা
২৫) আওগাশিমা, জাপান
২৬) ফিঙ্গাল’স কেইভ, স্কটল্যান্ড
২৭) আন্ডারওয়াটার রিভার, সিনোট অ্যাঞ্জেলিটা, মেক্সিকো
২৮) নাইকা মাইন, মেক্সিকো
২৯) হিডেন বীচ, মেক্সিকো
৩০) লেক নাটরন, তাঞ্জানিয়া
৩১) দি আই অব আফ্রিকা, মৌরিতানিয়া
৩২) হাইল্যান্ডস, আইসল্যান্ড
৩৩) প্লিটভাইস লেক, ক্রোয়েশিয়া প্লিটভাইস প্রাকৃতিক উদ্যানটি ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপে সবচেয়ে পুরাতন প্রাকৃতিক উদ্যান। কয়েক হাজার বছর ধরে চুনাপাথর এবং চকের উপর পানির প্রবাহের ফলে প্রাকৃতিকভাবে বাধ, সুন্দর সুন্দর হ্রদ, গুহা এবং জলপ্রপাত তৈরি হয়েছে এখানে।
===================বহুরূপীর সাথে থাকুন======================


















































supar
ReplyDeletehave a awesome
ReplyDeleteঅসাধারণ সুন্দর দৃশ্য গুলো
ReplyDeleteNice
ReplyDelete12342345
ReplyDelete🥰🥰🥰🥰🥰🥰😍😍
ReplyDeleteGood
ReplyDelete